ওমরাহ পালনে সৌদি যাওয়ার পথে অ/সু/স্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর

ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দুবাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে রওনা হন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানটি দুবাই পৌঁছায়।

তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও ছেলে। বিমানের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিমানবন্দরে নামার পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় দুবাই হাসপাতালে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে সৌদি চলে গেছেন। সঙ্গে রয়েছেন ছেলে লাবিব।

তিনি সুস্থ হলে সৌদি আরবে যাবেন। সেখানে ওমরাহ শেষে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাবরের, যোগ করেন জাকির হোসেন।

এর আগে কারামুক্ত হওয়ার তিন দিন পর গত ১৯ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবর। সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। দীর্ঘ কারাভোগের কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগের পর গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান লুৎফুজ্জামান বাবর। এর আগে চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলাতে গত ১৪ জানুয়ারি খালাস পান তিনি। একই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাতেও গত ১৮ ডিসেম্বর খালাস পান বাবর।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান জব্দ করা হয়। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে দুটি  মামলা করা হয়েছিল।

২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হন লুৎফুজ্জামান বাবর। পরে বিভিন্ন মামলায় তার সাজা হয় আদালতে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। সবশেষ আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার দুই মামলায় খালাসের পর বাবরের কারামুক্তির পথ খুলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *