বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী, এবার ‘রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ’

বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে বিরল এ দৃশ্য দেখা যাবে।
এদিন আকাশে দেখা যাবে বিস্ময়কর রক্তিম চন্দ্রগ্রহণ। ২০২২ সালের পর এটিই হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যেখানে চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় সম্পূর্ণভাবে ঢেকে গিয়ে রক্তিম বর্ণ ধারণ করবে।

অন্যান্য মহাজাগতিক ঘটনা দেখার চেয়ে চন্দ্রগ্রহণ দেখার বিষয়টি তুলনামূলক সহজ। কারণ, এমন দৃশ্য দেখার জন্য অন্ধকার পরিবেশ, সম্ভাব্য উল্কাবৃষ্টির জন্য প্রস্তুতি বা সূর্যগ্রহণের মতো সুরক্ষা টুলের প্রয়োজন পড়ে না।

বিরল এই চন্দ্রগ্রহণ দেখতে আগ্রহীরা কেবল চাঁদের দিকে তাকাবেন এবং এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাবে
পূর্ণ এ চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে শুরু হবে এবং বিকেল ৩টা ৫৯ মিনিটে শেষ হবে। আর মার্কিন সময় অনুসারে, এই চন্দ্রগ্রহণ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৪ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
যেসব দেশ থেকে দেখা যাবে

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মহাজাগতিক দৃশ্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হবে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও চিলি থেকে সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করা যাবে।

ইউরোপের কিছু দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং জার্মানিতে চন্দ্রগ্রহণের আংশিক পর্যায় দেখা যাবে, তবে গ্রহণ চলাকালীন সময়েই চাঁদ অস্ত যাবে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে মরক্কো, মিশর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ায় গ্রহণের প্রথম অংশ দৃশ্যমান হবে, তবে চাঁদ অস্ত যাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ গ্রহণ দেখা যাবে না।

অস্ট্রেলিয়া ও উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, যেমন: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব চীনে চন্দ্রোদয়ের সময় গ্রহণের শেষ অংশ দেখা যাবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ, বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরাকে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে না। এসব অঞ্চলে শুধু গ্রহণের প্রাথমিক পর্যায় কিছুটা দৃশ্যমান হতে পারে। তবে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *