মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খাওয়া ভালো নাকি খারাপ, জানালেন চিকিৎসক

রসগোল্লা, পান্তুয়া, সন্দেশ কিংবা চমচম—মিষ্টির নাম শুনলেই জিভে জল আসে। জন্মদিন থেকে বিয়ে, উৎসব থেকে অতিথি আপ্যায়ন—সব ক্ষেত্রেই মিষ্টি যেন বাঙালির আনন্দ-অনুষ্ঠানের অপরিহার্য অংশ। ভোজনের শেষে একটুকরো মিষ্টি না হলে অনেকের খাওয়াই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

তবে মিষ্টি মুখ করার পরপরই অনেকের অভ্যাস থাকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাওয়ার। অনেকেই ভাবেন এতে মিষ্টির ঘনত্ব কেটে যায়, স্বস্তি লাগে। কিন্তু চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়, বরং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খেলে কী হতে পারে

১. রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়ে

মিষ্টিতে শর্করার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলে সেই শর্করা দ্রুত রক্তে মিশে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

২. পাচনক্রিয়ায় বাধা পড়ে

মিষ্টি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সময় পানি খেলে সেই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। ফলে গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩. মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়

খাবার হজম ও শরীরচর্চার ক্ষেত্রে মেটাবলিজম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টির পর পানি খেলে এই মেটাবলিজম স্লো হয়ে যেতে পারে, যা শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা বাড়ায়।

ওজন বাড়তে পারে

৪. পানি মিশে ক্যালরির কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। ফলে শরীরে দ্রুত ফ্যাট জমা হয়। ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এই অভ্যাস।

তাহলে কি মিষ্টি একেবারে খাওয়া যাবে না?

না, পুষ্টিবিদদের মতে মিষ্টি মানেই বিষ নয়। তবে পরিমাণের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য ভাজা মিষ্টি বা রসে ডোবা মিষ্টি এড়ানো উচিত। সন্দেশের মতো হালকা মিষ্টি দিনে একটার বেশি নয়, এই নীতিই সবচেয়ে নিরাপদ।

চিকিৎসকরা আরও দাবি করেন, মিষ্টি খেলে পরদিন একটু বেশি হাঁটা বা শরীরচর্চা করাও জরুরি। এতে শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকে।

সূত্র : দ্য ওয়াল ও সিএনএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *