চরম দুঃসংবাদ: বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া ওই কম্পনে সারা দেশে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়।

ভূকম্পে রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালে রেলিং ধসে তিনজন পথচারী নিহত হন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে দুই জন ও নরসিংদীতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন।

রুবাইয়াত কবির বলেন, ঢাকা এবং এর আশপাশে বিগত কয়েক দশকে সংঘটিত হওয়া ভূমিকম্পের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। এ সময়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৪ থেকে ৫ মাত্রার সামান্য বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এগুলোর উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের বাইরে।

তিনি আরও জানান, ঐতিহাসিকভাবে এ অঞ্চলে একাধিক বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। যা প্রমাণ করে যে, এটি ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। যেকোনো সময় বাংলাদেশে আরও বড় ভূমিকম্প হতে পারে। ঠিক কবে হবে সেটা আমরা বলতে পারি না।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার বলেন, এর আগে ২০০৩ সালে রাঙ্গামাটিতে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি বরকল ইউনিয়নে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এটিও অনেক শক্তিশালী ছিল। তবে ১৯১৮ সালে দেশের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বারবার বলে আসছি ভূমিকম্পে মহড়ার বিকল্প নাই। সরকার ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকার্যের জন্য কোটি কোটি টাকার বাজেট রাখে, সেখান থেকে দুর্নীতি করতে পারে। কিন্ত যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *