গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমি ওসমান হাদির চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। মেডিকেলের ভাষায় এ কন্ডিশন নিয়ে সুস্থ হওয়া, স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কিংবা বেঁচে থাকার হার খুব নগণ্য। কাজেই এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের দোয়া।’
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হাদিকে দেখতে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে নুর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দোয়ায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, আয়ু বাড়ে। এজন্য আমরা দেশের মানুষের কাছে আমাদের ভাই, আমাদের সংগ্রামের সহযোদ্ধা হাদির জন্য দোয়া চাই।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জানান, হাদির ওপর হামলার পর ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত, তার খুব বেশি তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা সরকারের মাধ্যমে জানানো হয়নি।
হাদি খুব গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাদির এ আহত হওয়া গোটা দেশের তরুণ থেকে প্রবীণ- সব মানুষকে মর্মাহত করেছে। এর আগে চট্টগ্রামে একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নুর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘হাদির পরিবারকে ডেকে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বিচার করবো, খুনিরা ধরা পড়বে। এ বয়ান শেখ হাসিনাও দিয়েছিল। তাই আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনো সান্ত্বনার বাণী শোনাবেন না। শেখ হাসিনার পরিণতি দেখেছেন, বিক্ষুব্ধ জনতা কীভাবে গণভবন ঘেরাও করতে গিয়েছিল।
কাজেই আপনারাও যদি ওই শেখ হাসিনার মতোই সান্ত্বনার বাণী শোনান, আমাদের ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসির গল্প শুনিয়ে শান্ত রাখতে চান, সেটি আপনারা পারবেন না।’