রিকশাচালকের ছেলে থেকে ৬ মাসে হঠাৎ কোটিপতি

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক নারী সংসদ সদস্য শাম ইসলামের কাছে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ। তিনি পরিচিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিসেবে। ঘটনার পরপরই সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, মাত্র আড়াই মাস আগে সেখানে একটি পাকা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত শেষ হয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, ভবন নির্মাণে জমিসহ আনুমানিক ব্যয় হবে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। বর্তমানে ভবনের যে অংশটি নির্মিত হয়েছে, তাতেই ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক সময় অভাবের মধ্যে বেড়ে ওঠা রিয়াদের হঠাৎ এমন আর্থিক উত্থান ও ঢাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “এই জমিটা ওর বাবার নামে ছিল, কিন্তু বিল্ডিংটা সে নিজেই করছে। এখন কিভাবে লাখ টাকা খরচ করছে, বুঝে উঠতে পারছি না। কোরবানির ঈদে শুনেছি এক লাখ টাকার গরু দিয়েছে।”

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াদের মা রিজিয়া বেগম দাবি করেছেন, স্বামীর আয়ে ও মানুষের সহযোগিতায় তিনি ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। বাড়ির নির্মাণ কাজও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, “বন্যার সময় সাহায্য পেয়েছি, রিকশা, সামান্য টাকাপয়সা কিছু পেয়েছিলাম। পরে ঋণ নিয়েছি, স্বামীর জমানো টাকা ও বড় ছেলের সাহায্যে কাজ শুরু করেছি।”

তিনি আরও জানান, তার চার সন্তান—দুই ছেলে, দুই মেয়ে। ছোট ছেলে রিয়াদ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বড় ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তবে কখনও কখনও ফুটপাতে ব্যবসাও করেন বলে জানান তিনি।

এদিকে গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিয়াদসহ চারজনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *