বাংলাদেশে বাড়ছে পেটের ক্যান্সার: সতর্ক না হলে মৃত্যু

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BMU) সর্বশেষ জনসংখ্যাভিত্তিক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি এক লাখে ১০৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বছরে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ৫৩ জন, যার মধ্যে পেটের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৭‑১০ শতাংশ হিসেবে ধরা পড়েছে ।

গবেষণায় রোগীদের ১২ শতাংশ মৃত্যু ক্যান্সারের কারণে হচ্ছে, তার মধ্যে পেটের ক্যান্সারে মৃত্যুর ভাগ দাঁড়ায় প্রায় ৫.৭ শতাংশ । পুরুষদের ক্ষেত্রে পেটের ক্যান্সারের হার ছিল ১০.৪ শতাংশ, নারী দেখেও ৭ শতাংশ পাওয়া গেছে ।

বৃদ্ধির কারণ ও ঝুঁকি

হার উচ্চারিত চিকিৎসা ও উপেক্ষিত স্ক্রিনিং বাংলাদেশে ক্যান্সার শনাক্ত ও নিরাময়ে গুরুতর ব্যবধান সৃষ্টি করছে ।

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভেজাল, ধূমপান ও খাদ্য রাসায়নিক এসব রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, বিশেষ করে যারা তামাক সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি উচ্চ ।

H. pylori – প্রতিরোধযোগ্য আশায় আলো

বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে, Helicobacter pylori (H. pylori) সংক্রমণ শনাক্ত ও চিকিৎসা করে পেটের ক্যান্সারের ৭৫% পর্যন্ত প্রতিরোধ সম্ভব । বাংলাদেশে এই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে রয়েছে এবং এর কারণে গ্যাস্ট্রিক অ্যাডেনোকার্সিনোমার ঝুঁকি খাড়া ।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

Mollah Obayedullah Baki, প্রাক্তন ক্যান্সার সোসাইটি প্রেসিডেন্ট, উল্লেখ করেছেন, “ভেজাল, জাঙ্ক ফুড, সেডেন্টারি জীবনধারা ও তামাক ব্যবহারে ক্যান্সারের খতম সংখ্যা বেড়েই চলেছে” ।

BMU গবেষক বলেন, আন্তর্জাতিক মডেল নির্ভর না করে বাংলাদেশি জনসংখ্যায় ভিত্তি করে ক্যান্সার নিবন্ধন তৈরি করা অত্যাবশ্যক ।

বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার মধ্যে পেটের ক্যান্সারের অংশ উল্লেখযোগ্য। দেরিতে শনাক্ত ও সীমিত চিকিৎসা সুযোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রবল। তবে, H. pylori সংক্রমণ শনাক্ত ও চিকিৎসায় প্রায় ৭৫% পর্যন্ত প্রতিরোধ সম্ভব।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি, জাতীয় স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম চালু, H. pylori টেস্ট এবং চিকিৎসা প্রসারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ জরুরি। রোগ নির্ণয় ও পয়েন্ট‑of‑care চিকিৎসায় দ্রুত উদ্যোগ নিলে ক্যান্সার বাঁচার সম্ভাবনা অনাবিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *