নীরব ঘাতক খাদ্যনালী ক্যান্সার: জানুন ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো

প্রতিদিনের মতো খাওয়ার পর হালকা অস্বস্তি, ঢেঁকুর ওঠা, বুক জ্বালা বা বদহজম—এসব উপসর্গকে আমরা প্রায়ই অবহেলা করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যা চলতে থাকলে তা হতে পারে মারাত্মক রোগের পূর্বাভাস, যেমন খাদ্যনালী ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এই ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য হলেও দেরি হলে তা জীবননাশের কারণ হতে পারে।

কী এই খাদ্যনালী ক্যান্সার?

খাদ্যনালী বা ইসোফ্যাগাস হলো মুখ থেকে পাকস্থলীর মধ্যে খাবার প্রবাহের পথ। এই পথে টিউমার বা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে সেটাই খাদ্যনালী ক্যান্সার। এটি সাধারণত ধীরে ধীরে লক্ষণ প্রকাশ করে, যার ফলে রোগ শনাক্তে দেরি হয়।

সতর্ক হোন এসব লক্ষণে:

🔹 বারবার বদহজম বা ঢেঁকুর ওঠা

🔹 গিলতে কষ্ট হওয়া বা খাদ্য আটকে যাওয়ার অনুভূতি

🔹 ওজন হ্রাস (কারণ ছাড়া)

🔹 বুক জ্বালা বা ব্যথা

🔹 কণ্ঠস্বর পরিবর্তন বা গলা বসে যাওয়া

🔹 কাশি ও কফে রক্ত

কারা বেশি ঝুঁকিতে?

🔹 অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপানকারী

🔹 দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক বা এসিড রিফ্লাক্সে ভোগা ব্যক্তি

🔹 হট বেভারেজ বেশি খাওয়া

🔹 অনিয়মিত খাবার, কম আঁশযুক্ত ডায়েট

🔹 ওবেসিটি ও স্থূলতা

প্রতিরোধই উত্তম চিকিৎসা

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, অনিয়মিত বদহজম বা গ্যাস্ট্রিককে অবহেলা না করে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পুষ্টিকর খাবার, ধূমপান-মদ্যপান বর্জন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন খাদ্যনালী ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

প্রতিদিনের ছোট ছোট লক্ষণই হতে পারে বড় বিপদের সংকেত। বদহজম বলে অবহেলা না করে, সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপই পারে জীবন বাঁচাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *