মানচিত্রে নতুন দেশ, প্রেসিডেন্ট ২০ বছরের তরুণ

ভেরডিস গঠিত হয়েছে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যবর্তী দানিউব নদীর তীরবর্তী একটি বিতর্কিত ভূখণ্ডে। এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের সীমান্ত বিরোধের কারণে প্রশাসনিকভাবে শূন্য ছিল, যেখানে কোনো রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

Ezoic
২০১৯ সালে ঘোষিত এই ‘মাইক্রো-ন্যাশন’-এর দাবি অনুসারে, বর্তমানে এর নাগরিক সংখ্যা প্রায় ৪০০। স্বতন্ত্র পতাকা, জাতীয় মুদ্রা এবং একটি প্রশাসনিক কাঠামোও রয়েছে এই নতুন রাষ্ট্রের। প্রেসিডেন্ট জ্যাকসনের ভাষায়, এটি একটি “গভর্নেন্স প্রজেক্ট” যার মূল লক্ষ্য একটি ন্যায্য, বিকেন্দ্রীকৃত এবং অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা।

তবে এখনো কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি ভেরডিস। তবুও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট জ্যাকসন জানিয়েছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে নাগরিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে এবং ভবিষ্যতে গণভোটের মাধ্যমে তার পদত্যাগসহ পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

Ezoic
যদিও সার্বিয়া এই উদ্যোগে এখনো সরাসরি বাধা দেয়নি, ক্রোয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জ্যাকসন ও তার সঙ্গীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমনকি এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতারও করা হয় বলে জানা গেছে।

Ezoic

প্রেসিডেন্ট জ্যাকসন মূলত একজন ডিজিটাল ডিজাইনার এবং Roblox প্ল্যাটফর্মে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ভেরডিস গঠনকে তিনি একটি সামাজিক ও প্রযুক্তিনির্ভর রাষ্ট্রচর্চার পরীক্ষামূলক প্রয়াস হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।

বিশ্বব্যাপী এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। কেউ এটিকে ভবিষ্যতের বিকল্প রাষ্ট্রমডেল হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই বিষয়টিকে কৌতুক বা কল্পনাপ্রসূত বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *