সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের যত সুবিধা

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তির আর্থিক স্থিতিশীলতার নির্ধারক হিসেবে কাজ করে। আর এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্র বেশ সুবিধাজনক। বিশেষ করে যখন ঝুঁকি ও বাজার পরিস্থিতি যাচাইয়ের প্রসঙ্গ ওঠে, তখন প্রথমেই আসে সঞ্চয়পত্রের কথা। কেননা সুদের হার এবং নীতি নির্ধারকের বিবেচনায় এটি অন্যতম একটি দুশ্চিন্তামুক্ত বিনিয়োগের খাত।

বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এই বিনিয়োগ প্রকল্পের আরেক নাম সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট্স বা সেভিংস সার্টিফিকেট। এই সনদপত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে নির্ধারিত সময় পরপর আসে মুনাফা। আর নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সেই বিনিয়োগকৃত মূলধনটি পাওয়া যায়। এটি দেশের স্বল্প আয়ের জনসাধারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সঞ্চয়ের মাধ্যম। মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, বায়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতাভুক্ত হন। এভাবে নির্ভরতা হ্রাসের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্যও সঞ্চয়পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে প্রতীয়মান হয়।

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুবিধা
১. আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচলিত যে কোনো বিনিয়োগের মাধ্যমগুলোর তুলনায় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি।
২. সরকারি কর্তৃত্ব থাকায় এখানে ঝুঁকির পরিমাণ অন্যান্য বিনিয়োগের খাত থেকে অনেক কম। মেয়াদপূর্তীতে সুদ-আসল সহজেই পাওয়া যায়। সুদের হার বেশি হওয়ায় মোট আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি আসে।

৩. সঞ্চয়পত্র ইস্যুকারী অফিসগুলোর যে কোনোটিতে নিবন্ধন করার পর প্রয়োজনে সে সঞ্চয়পত্র সেই অফিসের অন্য শাখায় স্থানান্তর করা যায়।
৪. জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে নেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সুদের হার কিছুটা কমে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *