
দেশজুড়ে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুরে চালানো অভিযানে রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ৪২ জন এবং গাজীপুর জেলা পুলিশ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে জানা গেছে। পুলিশের দাবি, তারা বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রিয়াজ উদ্দিন জানান, মহানগরের ৮টি থানায় চলমান অভিযানে ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শনিবার বিকেলে ধীরাশ্রম এলাকায় ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হামলা হয়েছে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হকের পৈতৃক বাড়ির সামনে। যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে এ অভিযান চলছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, জেলার পাঁচটি থানা—কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, জয়দেবপুর, শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর—থেকে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আটককৃতরা বিভিন্নভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন। এই অভিযান জেলার সর্বত্র চলমান থাকবে।”
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, “যারা জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেবে না, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, আমরা তাদের চিহ্নিত করছি। অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও জানান, গাজীপুরে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে—একটি ধীরাশ্রম এলাকায় হামলার ঘটনায় এবং অন্যটি শহরের রাজবাড়ি সড়কে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অব্যাহত থাকবে এবং যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।