প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম মাত্র ৭ টাকা!

বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের কেজি কম হলেও ৫০ টাকা। আর আদার কেজি পেঁয়াজের দ্বিগুণ; সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। সেখানে আমদানি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস না নেওয়া আদার সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৩.৫৪ টাকা, আর পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৭.৩৬ টাকা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম কাস্টমের প্রকাশ্য নিলামে এসব দর দিয়ে আদা ও পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

চট্টগ্রাম কাস্টম নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, আমদানি করে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস না নেওয়া এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ কেজি পেঁয়াজ নিলামে ওঠানো হয়। এসব পেঁয়াজের সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয় ৬১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৯ টাকা। ওই হিসাবে প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারিত ছিল ৫৩.১০ টাকা। কিন্তু নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৭.৩৬ টাকা।

দর উঠেছে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ। আর ৫৭ হাজার ৫৬০ কেজি আদার সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারিত ছিল ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৭ টাকা। প্রতি কেজি নির্ধারিত মূল্য ১০৬.৭৯ টাকা। কিন্তু নিলামে অংশগ্রহণকারীরা এসব আদা ২৩.৫৪ টাকায় কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৪ শতাংশ।
প্রকাশ্যে নিলামে অংশ নেওয়া রাকিব আহমেদ জানিয়েছেন, নিলামে ওঠানো পচনশীল এসব পণ্যের মান ভালো থাকে না। এসব পণ্য দীর্ঘদিন বন্দরে থাকতে থাকতে পণ্যের গুণগত দিকও ঠিক থাকে না। তাই এসব পণ্যের নিলামে দর কম ওঠে। এখন নিলামে এসব পণ্য বিক্রি না হলে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।
তবে এসব পণ্য দীর্ঘদিন ফেলে না রেখে দ্রুত নিলামে ওঠানো গেলে ভালো দর পাওয়া যেত

নিলামের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান বলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারীরা আদা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৮০ শতাংশ কমে কিনতে আগ্রহী। আর ৮৬ শতাংশ কমে পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তাঁরা। নিয়ম আছে, নিলামে নির্ধারিত দরের ৬০ শতাংশ না হলে পণ্যগুলো হস্তান্তর করার বিধান নেই। এর পরও পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিলামে সর্বোচ্চ দরগুলো পর্যালোচনা করে পণ্যগুলো হস্তান্তর করা হবে কি না সেটা কাস্টম নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের (২০২৪) ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না হওয়া ১১১টি কনটেইনারে থাকা ফল, মাছ, মাছের খাবার, বিভিন্ন শস্যসহ দুই হাজার ৩৫০ টন পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এসব পণ্য ধ্বংস করতে চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকা। এর আগে একই বছরের নভেম্বরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে আমদানি করা চার লাখ কেজি কমলা, মাল্টা, ম্যান্ডারিন ও ড্রাগন ফল খাওয়ার অনুপযোগী হওয়ায় পুঁতে ফেলেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *