
ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফিরবে ফিরবে বলে রাতের ঘুম হারাম স্বৈরাচারের দোসরদের। আপা টুক করে সীমান্ত পার হয়ে ঢুকে পড়বেন বাংলাদেশে আবারও হবেন প্রধানমন্ত্রী। এমন অবাস্তব দিবাস্বপ্নে বিভোর হাসিনার দালালরা। এবার সেই আগুনে যেনো ঘি ঢাললেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ট্রাম্পের এক্স একাউন্টে করা একটি পোস্ট। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনা ইজ কামিং ব্যাক এজ বাংলাদেশ পিএম সুন।’ যার অর্থ দারায় শেখ হাসিনা শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসছেন।’
পোষ্ট আর স্ক্রিনসট সবটাইতো ঠিক ছিলো কিন্তু বিপত্তিতা বাঁধলো ফ্যাক্ট চেক এর ক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার অনুসন্ধানে নেমে ট্রাম্পের করা ১৩ মার্চের সেই পোস্টটি খুঁজে বের করে। সভাবতই আইডিটি ফেইক বলে প্রমাণিত হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল আইডি থেকে এমন কোন পোস্ট করা হয়নি বলেও জানানো হয় রিউমার স্ক্যানারের পক্ষ থেকে।
ফেইক এই স্ক্রিনসট শেয়ার করে স্বৈরাচার হাসিনার দোসরদের উল্লাস করতেও দেখা যায়। এর আগেও বিভিন্ন সময় ট্রাম্পের ফেইক পোস্ট ও কথা শেয়ার করে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যস্ত ছিলো স্বৈরাচারের দোসররা। তবে এবার যেনো একটু বাড়াবাড়িই হয়ে গেলো।
ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় হাসিনার দোসররা ভেবেছিলো ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেই হাসিনার কপাল খুলবে। আবারও হাসিনা ফিরে আসবেন আর এতে সহায়তা করবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিজে। কিন্তু তাদের সেই দিবা স্বপ্ন, দিনের বেলা চাঁদ দেখার মতই ফিকে হয়ে গেছে। ট্রাম্প হাসিনাকে নিয়ে তেমন কোন মন্তব্যই আর করেননি নির্বাচিত হওয়ার পর।
সর্বশেষ হাসিনার পরম মিত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় উঠে আসে হাসিনা আর বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। সেখানে সাংবাদিকের করা প্রশ্ন সুকৌশলে এড়িয়ে যেতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। এসময় তিনি নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলতে বলেন। এর মানে দাঁড়িয়েছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্টের হাসিনার বিষয়ে এতটা আগ্রহ নেই। এরপরও লজ্জা হয়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনার দালালদের। ট্রাম্পের ভ’য়া পোস্ট শেয়ার করে আবারও কি করে হাসিনার ফিরে আসার কথা বলে উল্লাস করতে পারে ওরা? এমন প্রশ্ন রাখেন নেটিজেনরা।